নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা যাবে আরো দুই সপ্তাহ। এ বিষয়ে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে দেয়া স্থগিতাদেশের মেয়াদ আরো দুই সপ্তাহ বাড়িয়েছেন আপিল বিভাগ।
রাষ্ট্রপক্ষের সময়ের আবেদন আমলে নিয়ে সোমবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন ৬ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। আর রিটকারীদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী হাসান এম এস আজিম।
শুনানি শেষে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার বিষয়ে শুনানি জন্য আদালত দুই সপ্তাহ সময় দিয়েছেন। স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।
এর আগে গেলো ১১ মে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা অবৈধ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি আশিষ রঞ্জন রায়ের বেঞ্চ এ রায় দেন।
তখন রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেন, মোবাইল-কোর্ট আইন ২০০৯ সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এর আরো কয়েকটি ধারা সংশোধন করা দরকার।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার ক্ষেত্রে এখন থেকে সব ক্ষমতা থাকবে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এর হাতে। নির্বাহী কোনো ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে পারবেন না।
পরে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় স্থগিত চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। এরপর গেলো ২১ মে ভ্রাম্যমাণ আদালত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেয়া রায় স্থগিত করেন আপিল বিভাগ।
গেলো মার্চে আলাদা ৩ টি রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা কেন অবৈধ হবে না জানতে চেয়ে রুল জারি হয়েছিলো। পরে শুনানি শেষে তা অবৈধ ঘোষণা করা হয়।
এইচটি/জেএইচ